তুমি এখনো পড়ালেখা শেষ করোনি কেন

তুমি এখনো পড়ালেখা শেষ করোনি কেন

তুমি এখনো পড়ালেখা শেষ করোনি কেন, পরিবারের জন্য কিছু করতে পারব কিনা জানি না।

সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে, ভাবছে, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছি, একদিন বিসিএস ক্যাডার হব,

ভালো কিছু করব। এখন সে গ্রামে যেতে চায় না। অনেকে বলে, “তুমি এখনো পড়ালেখা শেষ করনি কেন?”

আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী আমার প্রতি যে প্রত্যাশা করছে, তা হয়তো আর পূরণ হবে না। ‘

দুই বছর আগে চীনের উহান শহর থেকে পৃথিবীকে গ্রাস করেছিল করোনা মহামারী। ইতিমধ্যে

কেড়ে নেওয়া হয়েছে অসংখ্য প্রাণ, নষ্ট হয়েছে শিক্ষা। ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের চার কোটি শিক্ষার্থীর ঐতিহ্যবাহী জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।

বেড়েছে শিশুশ্রম, সহিংসতা, বাল্যবিবাহ ও আত্মহত্যা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনজট তৈরি হচ্ছে।

সরকার অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ দিলেও অনেক প্রান্তিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারেনি।

আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:newstipo.com

তুমি এখনো পড়ালেখা শেষ করোনি কেন

এছাড়াও নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইস সমস্যা আছে বিষণ্ণতার কারণে বাংলাদেশে ১০১ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ৮১ দশমিক ৩৯ শতাংশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাকি ২২ দশমিক ৬ শতাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের আত্মহত্যার প্রধান কারণ পারিবারিক, সামাজিক ও মানসিক চাপ। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে অকালে পৃথিবী ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এই তরুণ আত্মারা।বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে। সেশনজটের কারণে পিছিয়ে পড়ছেন, কেউবা দু-এক সেমিস্টার পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ছেন। হতাশা তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী বলে মনে হয়। সব সময় মানসিক চাপে ভুগছেন, কীভাবে সংসার সামলাবেন সেই চিন্তা।পরিবার, প্রতিষ্ঠান, সরকার, রাষ্ট্র—সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে মহামারীর এই দুঃসময়ের বিষাক্ত হুল থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে।

দ্রুত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা দরকার

নিয়োগ পরীক্ষায় বিলম্ব, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে। সবার মা-বাবা চোখে জল নিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা অস্থায়ী চাপ সত্ত্বেও তাদের সমস্ত হৃদয় দিয়ে আমাদের ভালবাসে, তাদের ছেড়ে যেতে চায় না।দিন শেষে পরিবারই একমাত্র আত্মীয়। পৃথিবী আবার সুস্থ হয়ে উঠুক, আবার নতুন হয়ে উঠুক সবকিছু।ইসলামী আইনের দর্শনকে বলা হয় ‘মাকাসাইড শরিয়া’। শরীয়তের উদ্দেশ্য হল পাঁচগুণ: জীবন রক্ষা, সম্পদের সুরক্ষা, জ্ঞানের সুরক্ষা, বংশ রক্ষা, বিশ্বাস বা ধর্মের সুরক্ষা। জ্ঞান বা বুদ্ধির সুরক্ষার জন্য সব ধরনের মাদক বা নেশাদ্রব্য সেখানে হারাম। কারণ, মানুষের ‘মেধা’ বা সঠিক প্রাকৃতিক জ্ঞান রক্ষা না হলে সে নিজের, পরিবার, দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রের ক্ষতি করবে।সব ধরনের মাদকই পাপের উৎস। ইসলামের পাঁচটি মৌলিক নিষেধের একটি হল নেশা।মাদক ছাড়া বাকি চারটি অপরাধ তার নিয়ন্ত্রণে, অর্থাৎ সে চাইলেই সেগুলো থেকে রেহাই পেতে পারে।

কিন্তু মাদকের ব্যবহার এমন একটি

অপরাধ যা কারো নিয়ন্ত্রণের বাইরে; বরং সে নিজেই মাদক বা নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।ফলে আপনি চাইলেই সেখান থেকে বের হতে পারবেন না। অর্থাৎ অনেক সময় সে মাদক ছাড়তে চায় কিন্তু মাদক তাকে সহজে ছাড়ে না বা ছাড়তে চায় না। একজন মদ্যপ বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি অনুতপ্ত হওয়ার সুযোগ পায় না এবং মাদক ত্যাগ না করে তওবা করলেও তা কবুল হয় না। (সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১০২; তাফসির আজিজি ও তাফসির মাআরিফুল কোরআন)।এক মাস আগে, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ঘোষণা করেছিলেন যে রাশিয়ার সাথে বেইজিংয়ের পুনর্নবীকরণ শক্তিশালী সম্পর্কের কোনও সীমা নেই। শি জিনপিং বেইজিংয়ে পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠক শেষে তারা যৌথভাবে একটি সমঝোতা স্মারক করেন। এরপর দুজনে একসঙ্গে শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে অংশ নেন। অলিম্পিক গেমস শেষ হওয়ার কয়েকদিন পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *