সামনে একজন মাহবুব তালুকদার ছিলেন

সামনে একজন মাহবুব তালুকদার ছিলেন

দেশের খবর

সামনে একজন মাহবুব তালুকদার ছিলেন, মাহবুব ছিলেন তালুকদার। মাঝে মাঝে মনে হতো তিনি স্টান্ট

করছেন। মাঝে মাঝে মনে হতো গণতন্ত্রের কথা বলছেন। দিন শেষে মনে হলো, তিনিই একজন;

যার সুবাদে আমরা এদেশের নির্বাচনে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক ত্রুটির কথা জানতে পেরেছি।দেশের চলমান নির্বাচনী

ব্যবস্থার দোষ এখন সবার কাছে পরিষ্কার। কিন্তু একজন মাহবুব তালুকদার এই ঈগলদের প্রাতিষ্ঠানিক

উদাহরণ আঁকার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। তিনি ঈগলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, তিনি কাজ করেছেন।

সফল না হলেও শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম করেছেন। বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব তালুকদার বলেন, তিনি পাঁচ

সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সদস্য মাত্র। সেখানে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন। আর বাকি চার

সদস্য (প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ) গণতান্ত্রিকভাবে তার মতামত প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ,

মতামতের দিক থেকে তিনি সংখ্যালঘু ছিলেন।

আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:newstipo.com

সামনে একজন মাহবুব তালুকদার ছিলেন

১৪ ফেব্রুয়ারি ফাগুনের আগমনে নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন দেশের দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন পাঁচ বছরের মেয়াদ

পূর্ণ করেছে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে ১৩তম নির্বাচন কমিশন ২৬ ফেব্রুয়ারি শপথ

গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।কিন্তু নির্বাচন নিয়ে জনগণের ক্ষোভের আগুন কিছুতেই নিভেনি। বাংলার রাজনীতিতে বসন্তের আগমনের কোনো ইঙ্গিত নেই; উল্টো ভয় বাড়ছে। জনগণের মতো তরুণরাও প্রকৃত ভোটাধিকারের অপেক্ষায় রয়েছে। কারণ, ২০০৮ সালের নির্বাচন ছাড়া, ৯টি বসন্ত নাগরিক জীবন থেকে বিলুপ্ত হতে চলেছে—যেখানে তারা ভোটের উৎসবে অংশ নিতে পারেনি।আসন্ন নির্বাচন হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে বা করবে না এমন কোনো লক্ষণ নেই। কারণ, জনসমর্থনে সংখ্যার বিচারে দেশের প্রধান দুই দলের একটিও বিএনপি কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি। তারা সার্চ কমিটিতে কারও নাম জমা দেননি। বিএনপি বলছে, স্বচ্ছ নির্বাচনের প্রধান বাধা নির্বাচন কমিশন নয়, দলীয় সরকার।

নতুন কমিশন গ্রহণের জন্য ড দলটির

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।আওয়ামী লীগ বলছে, নবগঠিত ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশনে তাদের দেওয়া নাম থেকে কেউ আসেনি। কিন্তু কতদিন ধোপে টেকে তারা? কারণ মাহবুব তালুকদার বিএনপির প্রস্তাবিত নাম থেকে দ্বাদশ নির্বাচন কমিশনে আসেন। আর কে এম নুরুল হুদাকে সিইসি মনোনীত করেছে অন্তত চারটি দল- জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাপ ও তরিকত ফেডারেশন। কমিশনার রফিকুল ইসলামকে জাতীয় পার্টি (জাপা), জাসদ, সাম্যবাদী দল, তরিকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি) এই পাঁচটি দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কবিতা খানমের নাম প্রস্তাব করেছে আওয়ামী লীগ, সাম্যবাদী দল, ন্যাপ ও গণতন্ত্রী পার্টি। কমিউনিস্ট পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে শাহাদাত হোসেন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করা হয়। অন্য কথায়, ২০১৬ সালে গৃহীত নামগুলি ক্ষমতায় থাকাদের পক্ষ থেকে এসেছে। আবারও একই ঘটনা ঘটল।

বিভিন্ন দলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী

এবার নির্বাচন কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই সরকারের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি ছোট দলের তালিকায় ছিলেন। এদের মধ্যে তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বিএসডি-বিএসডি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) উল্লেখযোগ্য। প্রথম চারটি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক। বাকি দুটি দল সরকারপন্থী হিসেবে পরিচিত।এখন পর্যন্ত অবশ্য একটা বিষয় ভালোই মনে হচ্ছে, বিদায়ী সিইসি নুরুল হুদাকে নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। তবে নতুন সিইসির সঙ্গে তা শোনা যাচ্ছে না। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট নাগরিক জাফরুল্লাহ চৌধুরীও তদন্ত কমিটিতে তার নাম প্রস্তাব করেন।তবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এই নির্বাচন কমিশনেও যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ আমলা থাকে। পাঁচ সদস্যের কমিশন সবই সরকারী পরীক্ষিত। যদিও আওয়ামী লীগ বরাবরের মতো বলা শুরু করেছে, আগামী নির্বাচন তাদের জন্য সহজ হবে না।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *