মানুষ খুব একা তুমি তাদের পাশে দাঁড়াও

মানুষ খুব একা তুমি তাদের পাশে দাঁড়াও

আন্তর্জাতিক খবর

মানুষ খুব একা তুমি তাদের পাশে দাঁড়াও, অনেক আরজি অ্যাপ্লিকেশন হয়েছে, কিন্তু এটি কাজ করেনি।

শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসী যা ছিল তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল। গ্রাম ও জমি রক্ষার জন্য নদীতে বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্য।

ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্ডা ইউনিয়নে। ভাঙন রোধে বিনবিনাচর

গ্রামের মানুষ নিজ উদ্যোগে এ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। তাদের কোন উপায় ছিল না।

তাই শেষ চেষ্টায় দলকে বেঁধে ফেলেন তিনি। কারণ পাশের লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ গ্রামটি এখন আর

নেই। পর্যায়ক্রমে তিস্তা ভেঙে গেছে। সেখানকার প্রায় আড়াই হাজার মানুষ এখন ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে

পরিণত হয়েছে।গত বছর বিভিন্ন সময়ে রংপুরের গঙ্গাচড়ার আরও কয়েকটি গ্রাম ভেঙ্গে গেলেও

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কোলকোন্ডা ইউনিয়নের বিনবিনাচর গ্রামে। এখন ওই গ্রামের দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে।

এ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মানুষ।

আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:newstipo.com

মানুষ খুব একা তুমি তাদের পাশে দাঁড়াও

একটি কার্যকর ব্যবস্থা ‘দৃশ্যমান’ হবে। পাউবো কর্মকর্তারা একই ভাঙা রেকর্ড গ্রামবাসী এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেন, হুট করে সব হয় না। তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে. ভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে নথিপত্র অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।তৃতীয় পক্ষ দেখে আদেশ এলে নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ্মীটারী ও কোলকোন্ডা ইউনিয়নসহ কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলায় কাজ করবে পাউবো। সেই সুযোগে পাউবো কর্মকর্তা তিস্তা মাস্টারপ্ল্যানের গানও গেয়েছেন। তিনি ধৈর্য ধরে বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরু হলে এ অঞ্চলে পরিকল্পিত নদী শাসন হবে। তাহলে নদী ভাঙনের আশঙ্কা থাকবে না।কিন্তু নদীতে সরকার কাজ করে না! বরং নদীর দুই পাড়ের মানুষকে উঠতে বসতে হয়। তাই গ্রামবাসীরা উঠে পড়ল। নবগঠিত কোলকোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে স্বেচ্ছায় বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রম চলছে।

মনোয়ার হোসেনের মতে ফাল্গুন মাস

চলে এসেছে। কয়েক মাস পর নদী বন্দি ডাকবে, শুরু হবে বর্ষাকাল। এদিকে গ্রামের আড়াই শ’ গজের মধ্যে তিস্তা নদী চলে এসেছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে শংকরদহ গ্রামের মতো বিলীন হয়ে যাবে বাকি বিনবিনাচর। প্রথমে যাবেন বিনবিনাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।আগামী বর্ষায় নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে বিনবিনাচরের বাসিন্দারা স্বেচ্ছাসেবী আশ্রমে এক হাজার ফুটের বাঁধ নির্মাণ করছেন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে। বাঁধের উচ্চতা হবে ১০ ফুট এবং প্রস্থ হবে ৬০ ফুট। এ ছাড়া বাঁধের দুই পাশে প্রায় ৪০ ফুট বাঁশ লাগানো হবে। পাশাপাশি লাগানো হবে ইউক্যালিপটাস গাছ। গ্রামবাসীরা এ কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন। তারা বাঁশ ও টাকা দিয়ে কাজ এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।প্রকৌশলে পারদর্শী না হয়ে গ্রামবাসীরা যার ভিত্তিতে বাঁধের উচ্চতা, প্রস্থ ও ঢাল নির্ধারণ করেছিল, এই প্রশ্নের উত্তরে তারা তাদের অভিজ্ঞ জ্ঞান ভাগ করে নেয়। তারা লক্ষ্য করেছেন যে তিস্তা নদী বছরে সর্বোচ্চ ২৫ ফুট ভাঙ্গে।

ফলে বাঁধটি ৬০ ফুট চওড়া হলে আপাতত রক্ষা

পাবে বিনবিনাচর। তাদের ধারণা, বাঁধটি সঠিকভাবে নির্মিত হলে নদীতে হারিয়ে যাওয়া শংকরদহ গ্রামটি আবার চাষাবাদ ও বসতির উপযোগী হয়ে উঠবে।তবে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন লক্ষ্মীটারী চেয়ারম্যান মনে করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড এগিয়ে এসে বিনবিনাচর থেকে ৬ কিলোমিটার ভাটিতে বাঁধ নির্মাণ করলেই বিনবিনাচরের বাঁধটি চালু হবে। আর তা করতে হবে আসছে বর্ষার আগেই।অন্যথায় জলপ্রবাহের প্রত্যক্ষ প্রভাবে সংকরদহের মতো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিনবিনাচর, পশ্চিম ইচলি, পূর্ব ইচলি, চরিশ্বরপুর ও জয়রাম ওঝা গ্রাম। লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে দুই লাখের বেশি মানুষ।পাকিস্তান ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (ওয়াপদা) থেকে জন্ম নেওয়া ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পাউবো) কাঠামোর অনেক পরিবর্তন সত্ত্বেও, এখনও মানুষের কথা শোনার এবং মানুষের কাছে পৌঁছানোর কোনও ‘দৃশ্যমান’ উপায় নেই।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *